Categories
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা

ফিলিপাইন জাতের কালো আখ চাষে লাভবান ডালিম!


ফিলিপাইন জাতের কালো আখ চাষে লাভবান ডালিম!

বগুড়ায় ফিলিপাইনের কালো আখ চাষে সফল উদ্যোক্তা আহসানুল কবির ডালিম। তিনি বাণিজ্যিকভাবে এই জাতের আখ চাষে এলাকায় বেশ সাড়া ফেলেছেন। এই আখের স্বাদ খুব মিষ্টি। এর চাষ পদ্ধতি সহজ, খরচও কম এছাড়াও বাজারে বেশ ভাল দামে বিক্রি করা যায়। তাই তিনি এর চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। তার দেখাদেখি অনেকেই এর চাষে আগ্রহী হয়েছেন।

জানা যায়, উদ্যোক্তা আহসানুল কবির ডালিম বগুড়ার সদর উপজেলার লাহিড়ীপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। কিছু জটিলতার কারণে চাকরি ছেড়ে দেন। তারপর বাড়ি এসে ছয় শতক জমিতে ফিলিপাইনের কালো জাতের আখের চাষ করেন। এই জাতের আখ খেতে সুমিষ্ট ও এর চাষে লাভবান হওয়ায় বর্তমানে তিনি আট বিঘা জমিতে এর চাষ করছেন। এছাড়াও বাণিজ্যিকভাবে এই আখের গুড় বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন।

উদ্যোক্তা ডালিম বলেন, আমি প্রথমে ফিলিপাইন জাতের ১৬টি আখের চারা সংগ্রহ করে রোপন করি। সেখান থেকে ৭টি চারা টিকে যায়। তারপর এই ৭টি থেকেই আস্তে আস্তে চারার সংখ্যা বাড়াতে থাকি। এই আখগুলো দেখতে কালো খয়েরি। ১২-১৬ ফুট লম্বা হয়। এই আখের কাণ্ড কিছুটা নরম, রস বেশি, মিষ্টি বেশি, চাষের পর লাভ বেশি।

তিনি আরো বলেন, বিঘাপ্রতি এই জাতের আখ চাষে প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়। এতে প্রায় ২ টন গুড় উৎপাদন করা সম্ভব। এতে প্রতি বিঘায় প্রায় ৪ লাখ টাকার গুড় ও লাল চিনি বিক্রি করা যাবে। একই সাথে এর চারাও বিক্রি করা যাবে। আমার উৎপাদিত গুড় কেজিপ্রতি ২০০ টাকায় বিক্রি করছি।

কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, আখের চাষ বাড়াতে আমাদের বাড়তি নজর দিতে হবে। এর থেকে উৎপাদিত গুড় ও লাল চিনির বাজার তৈরী হবে। এতে আমাদের আমদানি নির্ভরতা কমবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বগুড়ার অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) কৃষিবিদ মো. এনামুল হক বলেন, ডালিম একজনব সফল উদ্যোক্তা। তার এমন এ উদ্যোগ দেখে অন্যান্য কৃষকরাও কালো আখ চাষে ঝুঁকছেন। আমরা চাষিদের উৎসাহিত করছি, বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছি। আশা করছি এই আখের চাষ আরো ছড়িয়ে যাবে।



Source link