নওগাঁর নিয়ামতপুরের চাষীরা সরিষা চাষে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।এ জেলায় এবার সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। কম খরচে বেশি ফলন পাওয়া যায় দেখে চাষিরা সরিষা চাষে বেশি ঝুঁকছেন। বাজারে ভোজ্য তেলের ভালো দাম ভালো থাকায় চাষিরা লাভবান হতে পারছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ এখন হলুদে ভরে গেছে। সরিষার এই ফলনে কৃষকের মুখে আনন্দ দেখা দিয়েছে। বর্তমানে কৃষকরা সরিষা পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। এইবার সরিষা চাষে লাভবান হবেন বলে আশা করছেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলেন, এ বছর কৃষকরা বিভিন্ন জাতের সরিষার চাষ করছেন। তার মধ্যে বারি-১৪, বারি-১৭, বিনা-৭, বিনা-৯, বিনা-১১ ও স্থানীয় টরে-৭ জাতের সরিষা চাষ করছেন। এইগুলো সব উচ্চফলনশীল জাতের সরিষা। সরিষা বিক্রি করে চাষিরা লাভজনক হতে পারবে বলে আশা করছি।
উপজেলা কৃষি বিভাগ বলেন, এ বছর নওগাঁর নিয়ামতপুরে ৮ ইউনিয়নে ৫ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষাবাদ হয়েছে। এখান থেকে ৯ হাজার ৪৩৫ মেট্রিক টন সরিষা উৎপাদন হয়েছে। তেল উৎপাদিত হয়েছে ৩ হাজার ৭৭৪ টন। আর সরিষার ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করা হয়েছে ১০ হাজার ২০ কেজি। চলতি মৌসুমে সরিষা চাষাবাদ থেকে ৭৫ কোটি ৪৮ লাখ টাকা আয় হয়েছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ শামসুদ্দোহা বলেন, আমরা কৃষকদের সকল ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করে আসছি। আমরা তাদেরকে বিনামূল্যে উচ্চফলনশীল জাতের সরিষা বীজ ও রাসায়নিক সার সরবরাহ করে যাচ্ছি। যাতে তারা সরিষা চাষে আরও বেশি ঝুঁকে পড়েন। এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে সরিষার উৎপাদন হয়েছে। এ মৌসুমে সব রেকর্ড ছেড়ে সরিষা চাষাবাদে উপজেলায় ৭৫ কোটি ৪৮ লক্ষ টাকা আয় হবে বলে আশা করছি।