বগুড়ার মরিচ দেশ জুড়ে অনেক জনপ্রিয়। এবার মরিচের চাষ কম হলেও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভালো ফলন হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর বাজারে মরিচের দাম ভালো থাকায় চাষিরা অনেক খুশি। ফলে এ বছর মরিচ বিক্রি করে চাষিরা অনেক লাভবান হতে পারবেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, কৃষকরা যমুনা বেষ্টিত বগুড়ার চরাঞ্চলের সারিয়াকান্দি, গাবতলী,ধুনটের মরিচের গাছ থেকে পাকা লাল মরিচ উঠাচ্ছে। চাষিরা মরিচ শুকানো ও বাছাইয়ের কাজে বেস্ত সময় পার করছেন। তারা প্রাকৃতিক দুর্যোগ হওয়ার আগেই মরিচ শুকিয়ে ঘরে তুলছেন। মশলা প্রস্তুতকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা মরিচে শুকানের কাজে ব্যস্ত যাতে ঝড় বৃষ্টিতে শুকনা মরিচের ক্ষতি না হয়।
বগুড়ার সারিাকন্দি উপজেলার কর্ণিবাড়ি চরের চাষি মোতালেব সরকার বলেন, আমরা গত মৌসুমে শুকনা মরিচ পাইকারি ২০০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি। সেই মরিচ বাজারে ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। এ বছর বাজারে মরিচের দাম ভালো থাকায় অনেক লাভবান হতে পারবো বলে আশা করছি।
কৃষি বিভাগ বলেন, এ বছর শুকনা মরিচ উৎপাদন এর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ওজনে ১৯ হাজার ৯৩৮ মেট্রিকটন। কিন্তু মরিচ চাষ হয়েছে ৬২২৯ হেক্টর জামিতে। কাঁচা ও শুকনা মিলিয়ে মরিচের উৎপাদন হয়েছে ৬৮৭ মেট্রিকটন। এ বছর বাজারে মরিচের দাম বাড়তি। গত বছর কাঁচা ও শুকনা মরিচ বিক্রি হয়েছিল ৩৫০ কোটি টাকার। এবার দাম বেড়ে যাওয়ায় ৪১০ কোটি টাকার শুধু শুকনা মরিচ বেচা কেনা হবে আশা করছি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারী কৃষি অফিসার ফরিদ উদ্দিন বলেন, এ বছর ২৭৭ কোটি টাকার কাঁচা ও ৪১০ কোটি টাকার শুকনা মরিচ উৎপাদন হয়েছে। গত বছর ৩৫০ কোটি টাকার কাঁচা ও শুকনা মরিচ উৎপাদন হয়েছিল। গত বছর কাঁচা মরিচ পাইকারি বিক্রি হয়েছিল ৪০ টাকা কেজি । এবার সেই মরিচ ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর গত বছর শুকনা মরিচ বিক্রি হয়েছিল ২০০-২৫০ টাকা কেজি। এ বছর শুকনা মরিচ পাইকারি ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে দাম ভালো থাকায় চাষিরা মরিচ বিক্রি করে অনেক লাভবান হতে পারবেন বলে আশা করছি।