সারাবছর তরকারী বা সালাদে ধনেপাতার ব্যবহার হয়ে থাকে। এতে পুরো বছর জুড়েই এর চাহিদা রয়েছে। অল্প খরচে বেশি লাভ হয় বলে রাজবাড়ীর কৃষকরা ধনেপাতা চাষ করেছেন। কৃষকরা সেই লক্ষ্যেই এর চাষ করে অধিক ফলন পেয়েছেন। বর্তমান বাজারদর ভালো থাকায় উৎপাদিত ধনেপাতা বিক্রি করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।
জানা যায়, রাজবাড়ী জেলার সদর, পাংশা, কালুখালী, বালিয়াকান্দি ও গোয়ালন্দ এলাকায় ধনেপাতার চাষ করা হয়েছে। তবে গোয়ালন্দ ও বালিয়াকান্দিতে সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে। এখানকার উর্বর মাটি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকরা মৌসুমী ও আগাম দুই সময়েই ধনেপাতার চাষ করেন। বর্তমানে কৃষকরা জমি থেকে পাতা তুলে বাজারে বিক্রি করছেন।
গোয়ালন্দ উপজেলার উজান চড় ইউনয়নের খলিল সরদার বলেন, আমি এবছর দেড় বিঘা জমিতে ধনেপাতার চাষ করেছি। এই পাতার চাষ খুব সহজ। চাষে সব কিছু মিলে ৭ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এই দেড় বিঘা জমির ধনেপাতা আমি ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি।
অন্যান্য কৃষকেরা বলেন, আমরা অন্যান্য সবজির পাশাপাশি ধনেপাতার চাষও করি। এর চাষে প্রতি বিঘায় ৮-১০ হাজার টাকা খরচ হয়। আর বাজারে ৩০-৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি করা যায়। এখন বাজারদর কিছুটা কমেছে।
চলতি বছর কৃষকরা বিভিন্ন সবজি চাষের পাশাপাশি ধনিয়াপাতার চাষ করে ফলন ভালো পেয়েছেন। বিঘা প্রতি সব মিলিয়ে ৮-১০ হাজার টাকা খরচ করে পাচ্ছেন ৩০-৩৫ হাজার টাকা। প্রথম দিকে ধনিয়া পাতা বেশি দামে বিক্রি হলেও বর্তমানে এর বাজার দর কমে এসেছে। প্রতিমণ ধনিয়া পাতা মান ভেদে এখন পাইকারী বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকা থেকে দের হাজার টাকার মধ্যে। আর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০-১০০ টাকায়।
রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ফজলুর রহমান বলেন, রাজবাড়ীতে বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজির পাশাপাশি কৃষকরা ধনেপাতার চাষ করে থাকেন। বাজারে সারাবছর ধনেপাতার চাহিদা থাকায় কৃষকরা ভালো দামে বিক্রি করে লাভবান হতে পারেন। আমরা কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা করছি।