মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার দক্ষিণ জামশা গ্রামের আতিকুর রহমান পড়াশোনা শেষে চাকরির পেছনে ছোটেননি। গড়ে তুলেছেন নিজ গ্রামে বিশাল ফলের বাগান। ফলের বাগান করে ভাগ্য বদলেছেন তার। তার বাগানে উৎপাদনে জৈব সার ব্যবহার করায় বেশ চাহিদা তৈরি হয়েছে মাল্টা, বড়ই আর পেয়ারার। তার এই ভেজালমুক্ত এসব ফলের চাহিদা রয়েছে ব্যাপক।
জানা যায়, ২০১৯ সালে বাগান করার প্রকল্প শুরু করেন সেই থেকে পথ চলা। সিংগাইর উপজেলার দক্ষিণ জামশা গ্রামের আতিকুর রহমান তার বাগানে কীটনাশক সার ব্যবহার না করে শুধু জৈব সার ব্যবহার করে। তাই তার বাগানের ফলের চাহিদা অনেক বেশি। তার বাগানে রয়েছে মাল্টা, বড়ই আর পেয়ারা। ভেজালমুক্ত এসব ফলের চাহিদা শুধু দেশেই নয়, দেশের বাইরেও রয়েছে এর ব্যাপক চাহিদা।
আতিকুর বলেন, শুরুতে আমার জন্য এই পথ চলা সহজ ছিল না । তবে যাদের নিয়ে আমি এই প্রকল্প শুরু করেছিলাম, তাদের শ্রম ও ত্যাগের কারণে আমি আজকে সফল হতে পেরেছি। ২০১৯ সালে বন্যায় কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হই পরে ২০২১ সালে নতুন করে শুরু করি আবার। এখন আমার বাগানে প্রায় ১৬ ধরনের ফলের গাছ আছে । আমার বাগানের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য কিটনাশক এবং সার ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক জৈব সার ব্যবহার করি। তাই এখান থেকে নিশ্চিন্তে ভেজালমুক্ত মাল্টা, বড়ই, পেয়ারা কিনতে পারেন ক্রেতারা।
সিংগাইর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. টিপু সুলতান বলেন, এ বছর ২৫ হেক্টর জমিতে বড়ই ও ২০ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে পেয়ারা। যারা নতুন উদ্যোক্তা তাদের আমরা প্রাকৃতিক ভাবে চাষের জন্য পরামর্শ দিচ্ছি। যে কোন সহযোগিতায় আমরা তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে আছসি।