Categories
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা

আমবাগানের ফাঁকে সরিষা চাষে কৃষকের লাভের আশা!


আমবাগানের ফাঁকে সরিষা চাষে কৃষকের লাভের আশা!

সীমান্তবর্তী এলাকা নওগাঁ জেলার পোরশা উপজেলার কৃষকরা আম বাগনের ফাঁকে সাথি ফসল হিসেবে সরিষা চাষ করছেন। এই জেলায় আগে শুধু আমন ধানের আবাদ হতো। তারপর কৃষকরা আম বাগান করে এই উপজেলাকে বিখ্যাত করে তোলেন। আগে কখনো এমন ভাবে সরিষা না করলেও এবারই চাষিরা বাড়তি লাভের আশায় সরিষা চাষ করেছেন।

জানা যায়, বর্তমানে নওগাঁ জেলার ১১টি উপজেলার মধ্যে আমের জন্য বিখ্যাত পোরশা উপজেলা। এই উপজেলা বৃষ্টিনির্ভর এলাকা হওয়ায় আগে শুধু আমন ধানের চাষ করা হতো। তারপর এখানকার চাষিরা আম চাষ শুরু করেন। আমের জন্য বিখ্যাত হওয়ার পর এখন চাষিরা আম বাগনের ফাঁকে ফাঁকে সরিষার চাষ করছেন। এতে একই জমিতে দুই ফসলের চাষ করাতে বাড়তি অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে কৃষকদের মাঝে। তাই অল্প খরচে সাথি ফসল করে বাড়তি আয়ের আশায় চাষিরা।

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, এবছর উপজেলায় ৪ হাজার ৪১০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। তার মধ্যে আম বাগানের ১ হাজার ৭৭৫ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে।

পোরশা উপজেলার সরাইগাছী গ্রামের চাষি জিয়ারুল ইসলাম বলেন, ১০ বিঘা জমিতে আমার আম বাগান। আমের বাগানে অনেকটা জায়গা ফাঁকা থাকে। তাই এবছর আম বাগানের ফাঁকা জায়গায় সরিষার আবাদ করেছি। এর আগে কখনো এমন চাষ করিনি। আশা করছি লাভবান হতে পারবো।

একই এলাকার মেজবাউল হক নামের আরেক চাষি বলেন, আমার ১৫ বিঘা জমিতে আমের বাগান। এই প্রথম আম বাগানে সরিষার আবাদ করেছি। এর আগে কখনো করিনি। পরিক্ষামূলক ভাবে সরিষা চাষ করে আশা করছি ভালো ফলন ও লাভবান হতে পারবো।

উপজেলার নিতপুর গ্রামের মোবারক হোসেন বলেন, বাজারে তেলের দাম বেশি। তাই কৃষি বিভাগের পরামর্শে এবছর আমার ৫ বিঘার আম বাগানে সরিষার চাষ করেছি। সরিষার কোনো রোগবালাই নেই। আর আম গাছেরও কোনো ক্ষতি হচ্ছে না। আশা করছি আম ও সরিষা দুটোতেই লাভবান হবো।

পোরশা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার বলেন, আগে এই উপজেলা বৃষ্টি নির্ভর হওয়ায় শুধু আমন ধানের চাষ হতো। তারপর চাষিরা আম করা শুরু করলো। বর্তমানে ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে কৃষকদের আম বাগানের ফাঁকে জায়গাগুলোতে সরিষার আবাদ করতে চাষিদের উৎসাহিত করা হয়েছে। আমরা মাঠ পর্যায়ে যেয়ে চাষিদের পরামর্শ ও সহযোগিতা করছি। আশা করছি চাষিরা ভালো ফলন ও দুই ফসল চাষ করে লাভবান হতে পারবেন।



Source link