Categories
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা

গোপালগঞ্জে শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলন খুশি কৃষকরা


গোপালগঞ্জে শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলনে খুশি কৃষকরা

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে ।এই শীতের মৌসুমে উৎপাদিত লালশাক, ডাটাশাক, পালংশাক, ধনেপাতা, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, শিম, বেগুন, টমেটো, মূলা পেঁয়াজকালি, শশা, খিরাই উচ্ছে, বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, এসব শীতকালীন সবজি বিক্রি করে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ১০ হাজার কৃষকরা প্রায় ৯ কোটি টাকা আয় করেছেন।

জানা যায়, চলতি মৌসুমে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মোট ২১ টি ইউনিয়ন এবং পতিত ১ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে শীতের শাক-সবজির চাষ হয়। যা থেকে ১৯ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন শীতের শাক-সবজি উৎপাদন করেছেন কৃষক। প্রতি কেজি সবজি গড়ে ১৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।সেই অনুযায়ী ২৯ কোটি ২৫ লাখ টাকা মূল্যের সবজি উৎপাদিত হয়েছে। এসব সবজি উৎপাদনে কৃষকের ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা। খরচ বাদে সবজি বিক্রি করে কৃষকের লাভ হয়েছে ৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ১০ হাজার কৃষক শীতের সবজি বিক্রি করে এ আয় করেছেন।

রঘুনাথপুর গ্রামের কৃষক অপূর্ব বলেন, এবার আমরা সরকার থেকে অনেক সাহায্য পেয়েছি এবং ফসলের ভালো ফলন ও ভালো দাম পাওয়ায় লাভের মুখ দেখতে পেরেছি। এ বছর ঘেরের আইলের ১ একর জমিতে টমেটোর পাশাপাশি অন্যান্য সবজি চাষ করেছি । সৌসুমের শুরুতে প্রতি কেজি টমেটো ১২০ টাকা দরে বিক্রি শুরু করি। এখন প্রতি কেজি টমেটো ১৫ টাকা দরে বিক্রি করছি। এখন থেকে আমি আড়াই লাখ টাকার টমেটো বিক্রি করেছি। আরও অন্তত ১ লাখ টাকার টমেটো বিক্রি হবে।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়ন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা প্রদীপ হালদার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির আহ্বান জানান। সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে আমরা কৃষককে লাভজনক শাক-সবজি আবাদে উদ্বুদ্ধ করি। কৃষকরা আমাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে উৎসবের আমেজে শাক-সবজির আবাদ করেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকরা শীতের শাক সবজির বাম্পার ফলন পেয়েছেন। এ সবজি বিক্রি করে তারা লাভের টাকা ঘরে তুলেছেন।



Source link