Categories
News

এটি জিয়াউর রহমানের জানাজার ছবি নয়


বিভিন্ন সময়ে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) গণজমায়েতের একটি পুরানো ছবিকে ভিন্ন ভিন্ন দাবিতে প্রচার হয়ে আসছে।

কী দাবি করা হচ্ছে?

আলোচিত ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে, একটি খোলা ময়দানে অসংখ্য মানুষ উপস্থিত হয়েছেন। গণজমায়েতের মধ্যেই সাদা ছাত দিয়ে ঢাকা একটি মঞ্চসদৃশ স্থান দেখা যায়। দূর থেকে তোলা ছবিটিতে উক্ত স্থানে কী আছে বা এই স্থানকে ঘিরেই মানুষের কৌতূহল সম্পর্কে কোনো ধারণা পাওয়া যায় না।

এই ছবি ব্যবহার করে অন্তত তিনটি সুনির্দিষ্ট দাবি প্রচার হতে দেখেছে রিউমর স্ক্যানার টিম। 

দাবি – ১

ছবিটি বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জানাজার ছবি দাবিতে প্রচার হয়ে আসছে।

উক্ত দাবিতে প্রচারিত কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।
পোস্টগুলোর আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।

দাবি – ২

ছবিটি বিভিন্ন সময়ে ১৯৬১ সালে ব্রিটেনের তৎকালীন রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের পূর্ব পাকিস্তান (বাংলাদেশ) সফরকালে তাঁকে দেখতে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে গণজমায়েতের ছবি দাবিতে প্রচার হয়ে আসছে। 

উক্ত দাবিতে প্রচারিত কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।
পোস্টগুলোর আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।

 একই দাবিতে উইকিমিডিয়া কমন্সে প্রকাশিত ছবিটি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

একই দাবিতে গণমাধ্যমের প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন ডেইলি স্টার

দাবি – ৩

ছবিটি বিভিন্ন সময়ে উপমহাদেশের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ ও নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জানাজা এর ছবি দাবিতে প্রচার হয়ে আসছে।

উক্ত দাবিতে প্রচারিত কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।
পোস্টগুলোর আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ছবিটি জিয়াউর রহমানের জানাজার নয় বরং ছবিটি তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে হোসেন সোহরাওয়ার্দীর জানাজার ছবি।

অনুসন্ধান যেভাবে

রিউমর স্ক্যানার টিম চলতি বছরের শুরু থেকে কয়েক দফায় এই বিষয়ে অনুসন্ধান করেছে। জানার চেষ্টা করেছে ছবির মূল সূত্র এবং কোন প্রেক্ষাপটে ছবিটি তোলা হয়েছিল। সেই চেষ্টার শুরুটা ছিল একজন মুক্তিযোদ্ধার একটি ফেসবুক পোস্টের সূত্র। 

মুক্তিযোদ্ধা মেহেদী সাত্তার ২০১৫ সালের ৫ জুন ফেসবুকে তার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে আলোচিত ছবিটি নিয়ে একটি পোস্ট দেন। 

পোস্টে জনাব সাত্তার লিখেছেন, “জিয়ার জানাজার লোক সমাবেশ হয়েছিল মানিক মিয়া এ্যাভিনিউতে। সেদিন আমি নিজে সেখানে উপস্থিত ছিলাম। আমি কোন কিছুতে হলপ করি না। কারন আমি মিথ্যা বলি না। তাই আমি দৃঢ় বিশ্বাসে বলছি এ ছবি মানিক মিয়া এ্যাভিনিউর না। ছবিতে উপরে বামদিকে দেখানো মন্দিরের মত কোন কিছু মানিক মিয়া এ্যাভিনিউতে ছিল না এবং আমার বিশ্বাস এখনো নাই।

ফার্মগেইটের দিক থেকে মানিক মিয়া এ্যাভিনিউ ধরে যেতে থাকলে হাতের বামদিকে দেখবেন পাট গবেষনা প্রতিষ্ঠানের পাটের খেত এবং খেতের ওপারে পাট গবেষনার ভবন। তারপর রাস্তার পাশে বিএডিসির ভবন। আর ছবির মন্দিরের জায়গায় পাট গবেষনার আবাসিক ভবন। আর হাতের ডানদিকে সংসদ ভবন। সুতরাং এটা মানিক মিয়া এ্যাভিনিউতে জিয়ার জানাজার ছবি নয়।”

জনাব মেহেদী সাত্তার ২০২০ সালে মারা যান। তার এই পোস্টের সূত্র ধরে পরবর্তীতে জিয়াউর রহমানের জানাজার বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে রিউমর স্ক্যানার টিম। 

বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে ১৯৮১ সালের ৩০শে মে ভোররাতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে একদল সেনা সদস্য হত্যা করে। 

অনুসন্ধানে ২০১৯ সালের ২ জুন জাতীয় দৈনিক ‘যুগান্তর’ পত্রিকার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জিয়াউর রহমানের জানাজার ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ১৯৮১ সালের ২ জুন রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

জানাজার ঘটনার বিষয়ে অধিকতর অনুসন্ধানে ১৯৮১ সালের ৩ জুন প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার প্রিন্ট সংস্করণটি স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘সংগ্রামের নোটবুক’ এর সহায়তায় খুঁজে বের করেছে রিউমর স্ক্যানার টিম। 

ইত্তেফাকের ঐ দিনের পত্রিকার (৩ জুন) প্রথম পাতায় জিয়াউর রহমানের জানাজার ছবি ছাপা হয়। যুগান্তরের ছবির সাথে এই ছবির কিছু মিল খুঁজে পাওয়া যায়। যেমন, এই ছবিতেও জিয়াউর রহমানের জানাজা শেরেবাংলা নগরে মানিক মিঞা এভিনিউতে সম্পন্ন হয় বলে জানানো হয়। তাছাড়া, দুইটি ছবিতে থাকা মানুষের মাথাতেই প্রায় একইরকম টুপি পরা বলে প্রতীয়মান হয়।

পরবর্তীতে জিয়াউর রহমানের জানাজার দুইটি ভিডিও খুঁজে পায় রিউমর স্ক্যানার টিম। 

৮.২০ মিনিট দৈর্ঘ্যের একটি ভিডিওতে ঢাকায় বিমানবন্দরে জিয়াউর রহমানের লাশ অবতরণ থেকে শুরু করে প্রেসিডেন্ট ভবনে শ্রদ্ধাঞ্জলির পর মানিক মিয়া এভিনিউতে জানাজা – এ সকল দৃশ্যই দেখা যায়। জানাজার স্থলে পেছনের দিকে দূরে জাতীয় সংসদ ভবনও দেখা যায় ভিডিওতে। এ থেকে প্রতীয়মান হয়, জানাজাটি সংসদ ভবন এলাকায় অর্থাৎ মানিক মিঞা এভিনিউতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

একই ঘটনার আরেকটি ভিডিও দেখুন এখানে।

অর্থাৎ, আলোচিত ছবিটি জিয়াউর রহমানের জানাজার নয়। প্রকৃতপক্ষে, জিয়াউর রহমানের জানাজা অনুষ্ঠিত হয় শেরেবাংলা নগরে মানিক মিঞা এভিনিউতে। কিন্তু আলোচিত ছবিটি তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানের।

ছবিটি কি রাণী এলিজাবেথের গণজমায়েতের?

ব্রিটেনের রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ সিংহাসনে আসীন থাকাবস্থায় ১৯৬১ সালে ভারতবর্ষ সফরে বেরিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় আসেন। তিনি ১৬ ফেব্রুয়ারী ঢাকা ত্যাগ করেন। ঢাকা ও চট্টগ্রামে বেশ কয়েকটি স্থানে রাণীর অনুষ্ঠান থাকলেও ঢাকার তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে তাঁর কোনো অনুষ্ঠান ছিল না। সে সময়ের (১৪, ১৫, ১৬ ফেব্রুয়ারির) একাধিক পত্রিকা (মর্নিং নিউজ, আজাদ) ঘেঁটে আলোচিত ছবির সদৃশ কোনো ছবি ছাপা হওয়ার তথ্য মেলেনি। 

তবে রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ সে সময়  ভারতবর্ষ সফরের সময় ভারতের কলকাতার রেসকোর্স ময়দানে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন।

এছাড়া, ১৯৮৩ সালের ১৪ নভেম্বর চারদিনের সফরে ঢাকায় এসেছিলেন রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। সেসময়ও তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানের কোনো অনুষ্ঠানে তিনি অংশ নেননি। সে সময়ের (১৪, ১৫, ১৬, ১৭ নভেম্বরের) পত্রিকা (ইত্তেফাক) ঘেঁটেও আলোচিত ছবির সদৃশ কোনো ছবি ছাপা হওয়ার তথ্য মেলেনি। 

অর্থাৎ, আলোচিত ছবিটি রাণী এলিজাবেথের গণজমায়েতের নয়। প্রকৃতপক্ষে, রাণী এলিজাবেথ ১৯৬১ ও ১৯৮৩ সালে দুইবার ঢাকা সফরে এসেছিলেন। এই দুই সফরের কোনোটিতেই তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানের কোনো গণজমায়েতে তিনি অংশ নেননি। 

তবে ১৯৬১ সালে ভারতের কলকাতায় সফরের সময় সেখানকার রেসকোর্স ময়দানের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।

ছবিটি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জানাজার

প্রথম দুইটি দাবির বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর তৃতীয় দাবি অর্থাৎ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জানাজা বিষয়ক দাবির বিষয়ে অনুসন্ধান করেছে রিউমর স্ক্যানার টিম। 

কিওয়ার্ড সার্চ পদ্ধতির মাধ্যমে গত ৫ ডিসেম্বর ফেসবুকে ‘বাংলাদেশের দুষ্প্রাপ্য ছবি সমগ্র’ নামক একটি গ্রুপে আলোচিত ছবিটির বিষয়ে একটি পোস্ট (আর্কাইভ) খুঁজে পাওয়া যায়।  

উক্ত পোস্টে বলা হয়, ছবিটি সোহরাওয়ার্দীর জানাজার এবং জানাজার তারিখ ১৯৬৩ সালের ৬ ডিসেম্বর উল্লেখ করা হয়। 

এই পোস্টের সূত্র ধরে অনুসন্ধান করে ২০২১ সালের ১৩ জানুয়ারী জাতীয় দৈনিক ‘আমাদের সময়’ পত্রিকার ওয়েবসাইটে “সোহরাওয়ার্দী-উত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের পুনর্জাগরণ” শিরোনামে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমানের লেখা একটি কলাম খুঁজে পাওয়া যায়।  

উক্ত কলাম থেকে জানা যায়, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ১৯৬৩ সালের ৫ ডিসেম্বর লেবাননের রাজধানী বৈরুতে মারা যান। 

কলামে ড. আতিউর সোহরাওয়ার্দীর জানাজার বর্ণনা দিয়ে লিখেন, “৮ ডিসেম্বর সকাল ১০টা ১৭ মিনিটে সোহরাওয়ার্দীর মরদেহ নিয়ে পিআইএ বিমান ঢাকা বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বেলা ২টা ৩০ মিনিটে রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) জানাজা পড়ানো শেষে ঢাকা হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে শেরেবাংলা একে ফজলুল হকের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়। ১৬ ডিসেম্বর পল্টন ময়দানে এক বিশাল শোকসভার আয়োজন করা হয় সোহরাওয়ার্দীর স্মৃতির উদ্দেশ্যে।”

অর্থাৎ, সোহরাওয়ার্দীর জানাজা ১৯৬৩ সালের ৮ ডিসেম্বর তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে হয়েছিল।

এ বিষয়ে জানতে ড.আতিউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। তিনি রিউমর স্ক্যানার টিমকে আলোচিত ছবিটির ব্যাপারে জানান, “ঐ সময়ের ইত্তেফাকে মূল ছবিটি পাবে আশা করি।”

ড. আতিউরের দেওয়া তথ্যের সূত্র ধরে ‘সংগ্রামের নোটবুক’ এর সহায়তায় ১৯৬৩ সালের ৯ ডিসেম্বরের দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার ছাপা সংস্করণ খুঁজে বের করেছে রিউমর স্ক্যানার টিম। উক্ত পত্রিকার তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে সোহরাওয়ার্দীর জানাজার একটি ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। তবে আলোচিত ছবিটি ছিল না এটি। কিন্তু আলোচিত ছবিতে থাকা সাদা ছাত দিয়ে ঢাকা মঞ্চসদৃশ স্থানটির সাথে এই ছবিতে থাকা প্রায় একই ধরনের মঞ্চসদৃশ স্থান খুঁজে পাওয়া যায়।

পরবর্তীতে একই দিনের (৯ ডিসেম্বর) আরো কিছু পত্রিকা (আজাদ, যুগান্তর) খুঁজেও আলোচিত ছবিটি খুঁজে পায়নি রিউমর স্ক্যানার টিম। 

আলোচিত ছবিটির খোঁজে পরবর্তীতে ফেসবুকে ইতিহাস বিষয়ক আর্কাইভ পেজ ‘Salahuddin Archive‘ পেজের এডমিন সালাউদ্দিন দোলকের সাথে যোগাযোগ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। 

জনাব দোলক রিউমর স্ক্যানার টিমকে ১৯৬৩ সালের ৯ ডিসেম্বরের ‘Morning News’ পত্রিকার ছাপা সংস্করণের একটি পাতা সরবরাহ করেন। উক্ত পাতায় আলোচিত ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়।

আলোচিত ছবিটির সাথে মর্নিং নিউজের ছবিটি হুবহু না মিললেও ছবির উপাদানগুলো বিশ্লেষণ করে একই স্থান থেকেই দুইটি ছবি তোলা হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়৷

অর্থাৎ, আলোচিত ছবিটি ১৯৬৩ সালের ৮ ডিসেম্বর তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে অনুষ্ঠিত হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জানাজার। 

মূলত, বিভিন্ন সময়ে ঢাকার তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে গণজমায়েতের একটি পুরানো ছবিকে কখনো জিয়াউর রহমানের জানাজা, কখনো রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথকে দেখতে জনতার ঢল, কখনো সোহরাওয়ার্দীর জানাজার ছবি দাবিতে প্রচার হয়ে আসছে। তবে রিউমর স্ক্যানার টিম দীর্ঘ অনুসন্ধানে নিশ্চিত হয়েছে, ১৯৬১ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকার তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জানাজার ছবি এটি। তাছাড়া, জিয়াউর রহমানের জানাজা হয়েছিল মানিক মিঞা এভিনিউতে এবং রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের বাংলাদেশ সফরে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে কোনো অনুষ্ঠানও ছিল না। 

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর রমনা রেসকোর্স নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। এরপর থেকে এই জায়গাটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নামেই পরিচিত।

সুতরাং, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জানাজার ছবিকে জিয়াউর রহমানের জানাজা এবং রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথকে দেখতে গণজমায়েতের ভিন্ন ভিন্ন দাবিতে প্রচার হয়ে আসছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র



Source link